বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন
সানোয়ার হাসান সুনুঃ
বিভাগীয় শহর সিলেট এর সাথে যোগযোগ রক্ষাকারী একমাত্র সড়ক জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-সিলেট সড়কটি বর্তমানে যানচলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ায় জনসাধারন চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। গত বছর ইটের সুরকি দিয়ে নিম্ন মানের কাজ করা সড়কটির পিচ ঢালাই উঠে বর্তমানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কটি বর্তমানে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী নিরুপায় হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে সিলেট শহরে যাতাযাত করছেন। এ উপজেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সিলেটে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন এবং একটি বড় অংশই সিলেট শহরে বসবাস করেন। নিত্যদিনের অফিসিয়েল কাজতো রয়েছে। সেই সুবাদে জগন্নাথপুর উপজেলা বাসিকে প্রতিনিয়ত সিলেট শহরে যাতায়াত করতে হয়। জগন্নাথপুরের হবিবপুর গ্রামের অধিবাসী সিলেট শহরের তালতলার হোটেল ইষ্টএন্ড এর স্বত্তাধিকারী আহমদ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীক কারণে আমাকে প্রতিদিনই সিলেট শহরে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে চলাচল করতে ভয় লাগে। মানুষ যদি সড়ক দিয়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে শুধু ডিজিটাল ডিজিটাল বলে চিৎকার দিয়ে লাভ কী?
জগন্নাথপুর সদর গ্রামের অধিবাসী সিলেট শহরের দরগা গেইট এলাকার বরুন ট্রাভেল্স এর স্বত্ত্বাধিকারী অরুন চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়িক কারণে প্রতিদিনই সিলেট যেতে হয়। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তার করুন অবস্থা দেখলে মনে হয় না এ এলাকায় কোন জনপ্রতিনিধি আছেন।
এদিকে প্রায়ই গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি জীবনের ঝুকি নিয়ে একজন মহিলার রাস্তার মধ্যে ডেলিভারী হয়। রাস্তাটির করুন দশার কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।এদিকে ২০১৭ইং সনে জুনে জগন্নাথপুর হইতে কেউনবাড়ী পর্যন্ত পৌনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কে ২ নং ইটের সুরকি ও নিম্ন মানের বিটুমিন ও অত্যান্ত নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে সংস্কার কাজ করা হলে ৪ মাসের মাথায় সড়কটি ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে সড়কটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। এ নিয়ে ২০১৭ইং সনের ১৪ নভেম্বর দৈনিক যুগান্তরে সচিত্র রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু টিকাদার নুরু কন্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আওয়ামীলীগ নেতা নাদের আহমদ, তৎকালীন প্রকৌশলী ও পাওয়ার পার্টির কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ ও আওয়ামীলীগ এর সাইনবোর্ড ব্যবহার করে পার পেয়ে যান। পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও দায়সারা কাজ করে অধিকাংশ টাকাই লুটপাট হয়ে যায়।
এলাকাবাসী উক্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ উপজেলার সকল জরার্জীন সড়কগুলো পুণঃনির্মানের জোর দাবী জানান। সেই সাথে সরকারি টাকা যাতে লুটপাট না হয় এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী এবং কাজ যেনো প্রাক্কলন
অনুযায়ী উন্নতমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে সঠিক ভাবে করা হয় এবং টেকসই হয় এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
উপজলো প্রকৌশলী গোলাম সারোয়াররে সাথে আলাপ হলে তিনি দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, এই গুরুত্বপূর্ন সড়কটি পুর্ণঃ নির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়ছে, আপাতত সড়কটির বড় বড় গর্ত ভরাট আমরা করে দেব।
Leave a Reply